রিয়াজ শরীফ, বাকেরগঞ্জ ॥ বাকেরগঞ্জে শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্র চলছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। চায়ের কাপে চুমুকের সাথে তুমুল চলছে নির্বাচনী আলোচনা। আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। অতীত হাতরে কর্মবিচারের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী যাচাই করছেন ভোটাররা। জনতার যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়ায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটিতে বর্তমান চেয়ারম্যানদের তুঙ্গে থাকা বৃহস্পতি বদলে গিয়ে শনিতে পরিণত হতে পারে। অর্থাৎ মনোনয়ন পেতে লজ্জাজনক পরাজয়বরণ করতে হবে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগদলীয় প্রায় অর্ধডজন প্রার্থীর নির্বাচনী বৈতরণী পারাপারের ক্ষেত্রে।অবশ্য এক্ষেত্রে উপজেলার ৯ নং কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট বিপরীতমুখী রয়ে গেছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় বর্তমান চেয়ারম্যান ফাটাকেষ্ট নামে খ্যাত ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্নার আমলনামা গণমুখী হওয়ায় এই ভিন্নতার সৃষ্টি হয়েছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনস্বার্থ রক্ষা, প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন, কার্লভাট-ব্রীজ, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন, শিশুঅধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা, সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টি, মানুষে মানুষে বিবেদ নিরোধের লক্ষ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মামলা-মোকদ্দমা সালিস-মীমাংসার মাধ্যমে বিবাদ নিস্পত্তি ইত্যাদি জনমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নসহ অভূতপূর্ব সার্বিক উন্নয়নের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিতে এগিয়ে রয়েছে ৯নং কলসকাঠী ইউনিয়নটি। উপজেলার অন্য ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে এই ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন হওয়ার অন্যতম কারণ সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রাজ্জাক মনু তালুকদারের নির্লোভচিত্তের নিরলস প্রচেষ্টা।তার অকালমৃত্যুতে এই ইউনিয়নের আসনটি শূন্য হলে তার বদৌলতে তার পুত্র ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্ডা উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে এ ছোটদের স্নেহ, বড়দের সম্মান, বিরোধ মীমাংসায় নিরপেক্ষতা, যুব ও নারীদের আত্মউন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে, প্রকল্প গ্রহনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকাণ্ড দুর্নীতিমুক্তভাবে সফলতার সাথে সম্পন্ন করায় সাধারণ মানুষের অভাব-অনটন কমেছে বহুগুণে।এধরণের অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মুগ্ধ করা সততায় বিমোহিত হয়ে, চেয়ারম্যান মুন্নার প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা বেড়েছে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেকগুন বেশী। অধিকাংশ সূত্রের দাবী, স্বচ্ছ ও সততার নিরিখে জনকল্যাণমুখী সকল কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চেয়ারম্যান মুন্নার ঘামঝরানো শ্রমের ফসল হচ্ছে- অবাক করা কম সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে তুলনাহীন ভালোবাসা প্রাপ্তি ও অনুমানের চেয়ে অনেক বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন। একটি বেসরকারি সংস্থার ওয়ার্ডভিত্তিক জরিপের ফলাফল নিরীক্ষা করে এবং স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে রেকর্ডগড়ার মতো জনপ্রিয়তার চিত্র বেরিয়ে আসছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- বর্তমান চেয়ারম্যান মুন্না দ্বিতীয়বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।উল্লেখিত জরিপগুলোর কয়েকটির মন্তব্য কলাম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এ আভাস পাওয়া গেছে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে-কলসকাঠী ইউনিয়নের সর্বত্র উল্লেখিত রকমের পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে ওঠায় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে ‘জেগেছে জনতা, জিতবে নৌকা’।আর এসব জয়জয়কার পরিস্থিতি দেখে একটি কুচক্রী মহল যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থানকারী অর্থাৎ আলশামস, রাজাকার বাহিনীর ও শান্তিবাহিনীর মূল হোতা তাদের উত্তরসূরিরা বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য দিয়ে সামাজিক ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করছেন যাহা অনভিপ্রেত বলে তিনি জানান।
Leave a Reply